• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

জাদরানকে ফেরালেন হাসান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
জাদরানকে ফেরালেন হাসান

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই রান তুলেছে আফগানিস্তান। দুই জুটিতেই বড় অবদান রেখেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। এবার তাকে সাজঘরে পাঠালেন হাসান মাহমুদ। এই প্রতিবেদনটি লেখার আগে আফগানদের সংগ্রহ ৩২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৯ রান।

৩৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান তুলতে পারেন দুই আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ১ রান করা গুরবাজেকে ফেরান তিনি।

এরপর রহমত শাহকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ইবরাহিম জাদরান। ধীরে ধীরে এই জুটি বড় পার্টনারশীপ গড়ে তুলে। তবে, মাথা ব্যাথা হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি, ভাঙেগন ৭৮ রানের জুটি।

এরপর অধিনায়ক শাহিদিকে নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন জাদরান। এরমাঝে জাদরান তুলে নেন অর্ধশতক। জাদরান যখন বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়ায় তখনি হাসান মাহমুদ ম্যাজিক। হাসান মাহমুদের দারুণ ডেলিভারিতে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচ। ইব্রাহিম থেমেছেন ৭৪ বলে ৭৫ রান করে।

টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের একাদশে আসে তিন পরিবর্তন। বদলে যায় উদ্বোধনী জুটিও। নাঈম শেখ নামেন মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে। নতুন সঙ্গী পেয়ে নাঈমও যেন হাত খুলে মারার আত্মবিশ্বাস পেলেন।

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন নাঈম। শুরুতে খোলসবন্দি থাকলেও পরে হাত খোলা শুরু করেন মিরাজ। কিন্তু নাঈমের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুজিব তাকে দারুণ এক স্পিনে পরাস্ত করেন। দলের রান তখন ৬০। ৩২ বলে ৫ চারে ২৮ রান করা নাঈম ফিরেছেন বোল্ড হয়ে।

উইকেটে থিতু হবার আগেই ফেরেন হৃদয়। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের তৃতীয় বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।

এরপরেই আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। রেকর্ড গড়া জুটির পথে মিরাজ-শান্ত দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি।

 তাদের ১৯৪ রানের জুটি ভাঙে যখন হাতে ব্যথা নিয়ে মিরাজ মাঠ ছাড়লে। ১১৯ বলে ১১২ রান করে শেষ পর্যন্ত রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ।

বন্ধুর বিদায়ের পর শান্তও ফেরেন দ্রুত। ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রান আউট হন তিনি। ৯ চার ও ২ ছয়ের ইনিংসে স্ট্রাইক রেটও ছিল দারুণ।

 শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর হাল ধরেন মুশফিক সাকিব। দুজনেই খেলেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্যামিও ইনিংস। রান আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক।

 ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী। ৬ বলে ১১ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। ৩ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন আফিফ। আফগানদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব ও মুজিবর রহমান।

Link copied!