• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

কাউন্টিতে দুর্দান্ত ফর্ম, ভারতকে পরোক্ষ হুমকি সাকিবের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
কাউন্টিতে দুর্দান্ত ফর্ম, ভারতকে পরোক্ষ হুমকি সাকিবের
সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

এবার বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর সফর ভারতের মাটিতে।  সফরকালে দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট।

তার আগে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেখানে বল হাতে দাপট দেখালেন তিনি। ভারত সফরের আগে তার ফর্ম চিন্তায় রাখবে রোহিত শর্মাদের।

কাউন্টিতে সারের হয়ে খেলছেন সাকিব। সেখানে সামারসেটের বিরুদ্ধে চার উইকেট নেন তিনি। একাই চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। ৩১৭ রানের বেশি করতে পারেনি সামারসেট। সারের হয়ে খেলে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসার কথা সাকিবের। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের কাছেই এই সিরিজ়টি গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ১০টি টেস্টের মধ্যে দেশের মাটিতে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে ভারত। এর মধ্যে দু’টি বাংলাদেশ এবং তিনটি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এই পাঁচটি ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথ পরিষ্কার করতে চাইবেন রোহিতেরা। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে হারিয়ে বেশ চনমনে বাংলাদেশ। তারা এবার ভারতকে হারিয়ে চমক দিতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সুবিধাজনক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। সাকিব ফর্মে থাকলে সুবিধা হবে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানাও তৈরি। ২১ বছরের তরুণ বোলার বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ভারত সফরের জন্য তৈরি। অনুশীলন শুরু হয়ে গিয়েছে। যত বেশি তৈরি থাকব, তত ম্যাচের সময় সুবিধা হবে। ভারত ভাল দল। কিন্তু যে দল ভাল খেলবে তারাই জিতবে। ওখানে গিয়ে বাকি পরিকল্পনা করব।’

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল রানার। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করতে পারেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ভাল বল করেছিলেন। এবার তার সামনে ভারত। রানা বলেন, ‘আমার কাছে যে জিনিসটার প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আমি সেটা করতে পেরেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে বলেছিলাম, সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কিছু করতে চাই। সেটা পেরেছি।’

২০২০ সাল থেকে রানার ক্রিকেট জীবন শুরু। কলেজ শেষ করার পর তার বড় ভাই ভর্তি করে দিয়েছিলেন একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। পরের বছরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় রানার। এক মৌসুমে নেন ৩২ উইকেট। পরের মৌসুমে নেন ৩০ উইকেট। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন সাফল্য দেখা যায়নি। সেই কারণে দেশের হয়ে সুযোগ দেওয়া হয় তাকে। দলকে হতাশ করেননি রানা। তিনটি টেস্টে ১১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।

Link copied!