ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৫টি বছর পার করেছেন বিরাট কোহলি। ১৫ বছরের এই ক্যারিয়ারে ক্রিকেট তাকে দুই হাত ভরে দিয়েছে। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে বাধাবিপত্তি কম আসেনি বিরাটের সামনে। শুনতে হয়েছে অনেক সমালোচনা। নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সব সময় সমালোচনার জবাব দিয়েছেন তিনি।
ভারতের সামনে ১২ বছর পর আবারও সুযোগ আসছে বিশ্বকাপ জয়ের। এর আগে বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে এশিয়া কাপ খেলতে মাঠে নামবে রোহিতরা। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলকে ট্রফি জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে বিরাট কোহলিকে। বিরাট কোহলি অবশ্য ভয় পাচ্ছেন না। বরং উল্টো মেরুতে তিনি। আসন্ন লড়াইয়ের কথা ভেবে তিনি উত্তেজিত।
বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছেন, “সামনে যেকোনো চ্যালেঞ্জই আসুক, আমি সেটা সামলানোর জন্য মুখিয়ে আছি। ভয় বা লজ্জা পেয়ে পিছিয়ে যাই না। ১৫ বছর ক্রিকেট খেলার পরও সামনে কঠিন লড়াই থাকলে উত্তেজিত হয়ে পড়ি। নতুন কিছু করার চেষ্টা করি, যেটা আমাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। ১২ বছর পর দলটির সামনে সুযোগ বিশ্বকাপ শিরোপা খরা কাটানোর। কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না, এমন প্রশ্নে কোহলি বলেন, “চাপ তো থাকবেই। সমর্থকেরা বারবার আমাদের কাছে ট্রফির আশা করে। তবে আমার থেকে বেশি ট্রফি কেউ চায় না। প্রত্যাশা থাকুক, আবেগ থাকুক। তবে এটা জেনে রাখুন, ক্রিকেটারদের থেকে বেশি আর কেউ ট্রফিটা চায় না। আমাদের দলের সব ক্রিকেটারই বিশ্বকাপ হাতে তুলতে মরিয়া হয়ে আছে।”
এদিকে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন রোহিত শর্মা। ৯ ম্যাচে ৬৪৮ রান করেন তিনি। ৮১ গড় ও ৯৮.৩৩ স্ট্রাইক রেট ছিল তার। সেঞ্চুরি পাঁচটি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এবার নিজেদের মাটিতে চার বছর আগের এই ফর্মকেই ফেরাতে চান ভারতীয় অধিনায়ক।
রোহিত বলেন, “সামনের সময়টা আমি উপভোগ করতে চাই। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আমি যে সঠিক কাজ করেছিলাম, সেগুলো মনে করার চেষ্টা করছি। সেই একইভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একজন ক্রিকেটার ও ব্যক্তি হিসেবে এটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
এ সময় বিশ্বকাপের দল নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, “সেরা দল বেছে নিতে গেলে কাউকে না কাউকে বাদ দিতেই হবে। এর আগেও যখন কাউকে বাদ দিয়েছিল আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি। প্রতিবার বাদ পড়া ক্রিকেটারদের গিয়ে বলি কেন তাদের দলে নেওয়া হলো না। সামনাসামনি, মুখোমুখি কথা হয়, যাতে কোনো অস্পষ্টতা না থাকে।”
রোহিত আরও বলেন, “বাদ পড়া ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা কেমন, সেটা নিজেকে দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি। ২০১১ বিশ্বকাপে যখন আমাকে নেওয়া হয়নি তখন মন ভেঙে গিয়েছিল। আমি জানি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়লে কেমন লাগে। আমরা সব সময় আমাদের বিপক্ষ দল, উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনা করে দল গঠন করি। সব সময় সঠিক নির্বাচন করতে পারি না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। মানুষ হলে ভুল হবেই।”
আগামী দুই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ খেলতে মাঠে নামবে ভারত।