• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি মুশফিকের সামনে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি মুশফিকের সামনে
বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জয় দিয়ে শুরু করলেও টানা দুই ম্যাচে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছে টাইগাররা। সবশেষ দুই ম্যাচ হারের কারণে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। বাংলাদেশ দল কিছুটা ব্যাকফুটে গেলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুশফিকের সামনে এক রেকর্ডের হাতছানি।

বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে তিন ম্যাচে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৯ রান। যা এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। মুশির ব্যাটিং গড় নজরকাড়া ৫৯ দশমিক ৫০। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধর্মশালায় ২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।

দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক।

ভারতের মাঠে মুশফিক ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছেন পঞ্চমবারের মতো। এই পাঁচ বিশ্বকাপে মি. ডিপেন্ডেবল ৩২ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৩১ ইনিংস ব্যাট হাতে ৯৯৬ রান করেছেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ৪ রান করতে পারলেই তিনি তৃতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে যাবেন। যেই ক্লাবের সদস্য আছেন মাত্র দুই জন্য উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা ও অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

উইকেটরক্ষক ব্যাটারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা। তিনি ৩৭ ম্যাচে ৩৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ১৫৩২ রান। এর পরই ৩১ ম্যাচে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১০৮৫ রান। এই বিশ্বকাপে মুশফিকের সুযোগ আছে গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে তালিকার দুইয়ে জায়গা করে নেওয়ার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুশফিক ৬ ম্যাচে আর ৯০ রান করলেই গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে যাবেন।

ভারতের মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই একটি রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। সেটি হলো এই পর্যন্ত মুশিই একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটার যিনি ৫টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। বাংলাদেশি ব্যাটার ছাড়িয়ে গেছেন চারটি বিশ্বকাপ খেলা সাঙ্গাকারা ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। গিলক্রিস্ট খেলেছিলেন তিনটি বিশ্বকাপ।

২০০৫ সালে অভিষেক হওয়া মুশফিক ২০২৩ বিশ্বকাপে সবচেয়ে অভিজ্ঞতম ক্রিকেটার। একই বছর অভিষেক হয়েছিল এমন কোনো ক্রিকেটার এই বিশ্বকাপে নেই। তবে নিজের শেষ বিশ্বকাপে আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আছে ৩৬ বছর বয়সি মুশফিকের। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নেওয়া।

ইতোমধ্যে এই বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে খেলে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন গিলক্রিস্ট ও ধোনিকে। গিলক্রিস্ট বিশ্বকাপে খেলেছেন ৩১ ম্যাচ, ব্যাটিং করেছেন সব ম্যাচেই। ধোনি ২৯ ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন ২৫ ইনিংসে। মুশফিক ৩২ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২২গজে নেমেছেন ৩১ ইনিংসে।

এই বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন লিগে আরও ৬ ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। যদি মুশফিক ফিট থাকেন এবং সব ম্যাচ খেলার সুযোগ পান, তবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা সাঙ্গাকারার রেকর্ডও রক্ষা পাবে না তার কাছ থেকে। ৩৭ ম্যাচ ৩৫ ইনিংস খেলেছেন সাঙ্গাকারা। আর ছয় ম্যাচ খেললেই মুশফিকের হবে ৩৮ ম্যাচ এবং ব্যাটিং ইনিংসের দিক থেকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে শ্রীলংকার সাবেক এই ক্রিকেটারকে।

Link copied!