এক বুক স্বপ্ন নিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে, টাইগারদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিতে সময় নিল না। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হোঁচট সাকিবদের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারতে হল ৫ উইকেটে। বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য ৬৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা।
ছোট রানের লক্ষ্য। ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান দুই ওপেনার শুরুটা করে একটু মারমুখিভাবেই। বিশেষ করে পাতুম নিসাঙ্কা খেলেন হাত খুলে। তবে, এই জুটি বড় হবার আগেই তাসকিন আহমেদের আঘাত। তাসকিনের ফুলার লেংথের বলে লাইন মিস করেন দিমুথ করুনারত্নে। হয়েছেন বোল্ড। দলীয় ১৩ রানে ফেরার আগে করুনারত্নে করেন ১ রান। নিসাঙ্কার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন কুশল মেন্ডিস।
এরপর হাত খুলে খেলতে থাকা নিসাঙ্কাকে ফেরান শরীফুল ইসলাম। শরীফুলের বলটি বের হয়ে যাবার সময় ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। সামনে ঝুঁকে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। নিসাঙ্কা আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ রান। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ধুঁকতে থাকা কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন সাকিব। ব্যক্তিগত পাঁচ রান করে ফেরেন মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৪৩ রান।
ওখানেই শেষ। এরপর বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ব্যাট হাতে শাসন করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত আসালাঙ্কা। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে করেন ৭৮ রানের জুটি। সামারাবিক্রমা তুলে নেন ক্যারিয়ারে চতুর্থ অর্ধশতক। এরপর সামারাবিক্রমার উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদি। দলীয় ১২১ রানের সময় ৫৪ রান করে আউট হওয়ার আগে লঙ্কানদের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়ে যান সামারাবিক্রমা।
তার বিদায়ের পর উইকেটে থিতু হবার আগেই ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরেন তিনি। এরপর আসালাঙ্কার সঙ্গে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৩৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়েন। আসালাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ৬২* রানে এবং অধিনায়ক ১৪* রানে। এতেই স্বাগতিকরা ৬৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। সাকিব ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এর আগে, বাংলাদেশের হয়ে লড়াইটা একাই চালিয়ে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাল্লেকেলেতে এর বাইরে শ্রীলঙ্কার দাপুটে বোলিং পারফরম্যান্সের জবাব দিতে পারেননি আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৬৪ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশ, নাজমুল একাই করেছেন ৮৯ রান।
৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে নাজমুলের জুটিতে উঠেছিল ৫৯ রান। কিন্তু এরপর আর কোনো জুটি বড় হয়নি। মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ বা মেহেদী হাসান সে অর্থে সঙ্গে দিতে পারেননি নাজমুলকে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাজমুল ফেরার পর বাংলাদেশও টিকতে পারেনি বেশিক্ষণ। লঙ্কানদের হয়ে মাতিশা পাতিরানা নেন ৪ উইকেট।