কাতার বিশ্বকাপের বড় অংশের খেলা শেষ। ৩২ দল থেকে টুর্নামেন্ট নেমে এসেছে চার দলে। চার সেমিফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও ফ্রান্স মুখোমুখি হবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।
একদিন পরই শুরু হবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া ও ২০১৪ আসরের ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা।
সমর্থকদের প্রত্যাশা অনুযায়ীই লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপের এই মঞ্চে আর্জেন্টিনা কখনো হারেনি। যতবারই তারা সেমিফাইনালের মঞ্চে উঠেছে, প্রত্যেকবার জয় পেয়েছে।
এর আগে আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলেছে পাঁচ আসরে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ফাইনাল খেলেছে। ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপে উরুগুয়ে তাদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৭৮ সালে স্বাগতিক ছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো, ১৯৯০ সালে ইতালি ও ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ আসরে কোনো সেমিফাইনাল ছিল না। প্রথম রাউন্ড শেষে ৮ দল খেলেছিল দ্বিতীয় রাউন্ড। আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে জিতেছিল প্রথম শিরোপা।
১৯৩০ সালের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা হারায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে। ১৯৮৬ সালের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা বেলজিয়ামকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায়। জোড়া গোল করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৯০ সালে স্বাগতিক ইতালিকে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিদায় করে লাতিনরা। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর অসাধারণ নৈপুণ্যে টাইব্রেকারে ডাচদের হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।