• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান
তাসকিনের উইকেট লাভে বাংলাদেশ দলের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে কাঁপছিল আফগানিস্তান; সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবি। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। তাদের এই ব্যাটিং নৈপূণ্যে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করেছে।

শারজাহতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৫)। কিন্তু ফুল লেংথের বল এজ হয়ে চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।

প্রথম উইকেট হারানোর পর কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং শুরু করে আফগানরা। ৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯ রান তোলে তারা। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেট পান মোস্তাফিজ। এই বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন রহমত শাহ (২)।

নিজের পরবর্তী ওভারে ফের উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এবার তার শিকার অভিষিক্ত ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতাল। ফিজের স্টাম্প বরাবর বল আতালের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগে। মোস্তাফিজের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অভিষেক ম্যাচে ৩০ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন আতাল। 

ওই ওভারের পঞ্চম বলটি কাটার মারেন ফিজ। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যায় আজমতউল্লাহ ওমরাইয়ের। বল ব্যাটের কানা দিয়ে সোজা জমা হয় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ২০তম ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তাসকিনের তুলে দেওয়া বলে গুলবাদিন নাইব মিড উইকেটে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে।

দলীয় ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানরা এরপর ঘুরে দাঁড়ায় নবি ও হাশমতউল্লাহ’র ব্যাটে। দলীয় ১৭৫ রানের সময় হাশমতউল্লাহ মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন। ৯২ বলে ৫২ রান করেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ। দলের ১৮৯ রানের মাথায় রশিদ খান আউট হন। শরিফুলের বলে মোস্তাফিজের হাতে ধরা পড়ার আগে ১০ রান করেন রশিদ।

দলীয় ২১৯ রানের সময় মোহাম্মাদ নবি তাসকিনের বলে তানজিদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তিনি ৭৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৪ রান করেন। শেষ দিকে খারোত মূল্যবান ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

বাংলাদেশের তাসকিন ও মোস্তাফিজ সমান ৪টি করে উইকেট লাভ করেন। তাসকিন ৫৩ রানে এবং মোস্তাফিজ ৫৭ রানে ঐ উইকেটগুলো নেন।

Link copied!