• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

স্বর্ণের অক্ষরে লেখা এক রাত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ১১:১৫ পিএম
স্বর্ণের অক্ষরে লেখা এক রাত

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশের ক্রিকেটের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য যেন সোনার হরিণে পরিণত হচ্ছিল। নিজেদের সেরা সংস্করণ ওয়ানডেতে মাঝেমধ্যে জয়ের দেখা মিললেও অন্য দুই ফরম্যাটে ব্যর্থতা ছিল ধারাবাহিকই। তেমনই এক সময়ে দেশের মাটিতে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় সত্যিই গৌরবের। সেই সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তির অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে শুক্রবারের (৬ আগস্ট) রাতটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ করেছিল ১২৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১১৭ রান পর্যন্ত তুলতে পারে অজিরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এদিন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।

এটা ঠিক, পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চের মতো ক্রিকেটার নেই এই দলে। কিন্তু জস হ্যাজেল উড, মিচেল স্টার্কের মতো গতিদানব তো ছিলেন দলে। তার ওপর দলটির নাম অস্ট্রেলিয়া। প্রতিভার কোনো ঘাটতি ছিল না তাদের কোনো কালে।

অন্যদিকে বাংলাদেশও কিন্তু খেলেছে খর্বশক্তির দল নিয়ে। নেই তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো পরীক্ষিত ক্রিকেটার। ছিলেন না লিটন দাসও। সিনিয়র বলতে মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, মোস্তাফিজরা। এছাড়া বাংলাদেশ দলও ছিল তারুণ্যে ভরপুর। এই তরুণ তুর্কিরাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে জয়ের পতাকা উড়িয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। 

আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদরা দেখিয়েছেন স্বপ্ন। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন। এই সিরিজেই যেন নিজেকে ফিরে পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার কবজির জাদু যেন হারিয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চেনা রূপে ফিরলেন কাটার মাস্টার, আরও কৌশলী, আরও বিধ্বংসী ছিল তার কাটারগুলো। ব্যাটে-বলে সাকিব তো বরাবরই সেরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দেখিয়েছেন কেন তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম।

সিরিজ জয় হলো। বাংলাদেশে পেল কোনো সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়। এবার হাতছানি হোয়াইটওয়াশের। সামনের দুই ম্যাচ জিতলেই বিশ্বের অভিজাত এই দলটির দর্প পূর্ণ মাত্রায় চূর্ণ করতে পারবে টাইগাররা। এমন সোনালি রাতে সেই স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি। বাংলার তরুণ তুর্কিরাই এ স্বপ্ন দেখার সাহস জোগাচ্ছেন আমাদের।

Link copied!