দুই ওপেনারসহ ক্রিস গেইলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারে ৯ উইকেটে হারিয়ে সংগ্রহ ৪৯।
পাওয়ার প্লেতে ৩১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন চার ব্যাটসম্যান। শুরু থেকেই ক্যারিবিয়দের চাপে রাখে ইংলিশ বোলাররা। ইংল্যান্ডের পক্ষে মঈন, আদিল ও মিলস ২ উইকেট করে এবং জর্ডান ও ওকস একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে ২০১০ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ক্যারিবিয়দের বিরুদ্ধে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় ইংলিশরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে ইংলিশরা। টুর্নামেন্টের ফেভারিট দল হলেও আন্তর্জাতিক টি২০-তে ম্যাচ জয়ের হিসেবে গেইল-ব্রাভোদের থেকে পিছিয়ে আছে ইয়ন মরগানের দল।
এমনকি বিশ্বকাপে পাঁচবারের দেখায় একবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বিশেষ করে ২০২১ সালের এই টুর্নামেন্ট স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচটি।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজন হলে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ইংলিশদের স্বপ্নভঙ্গ করেন ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও একটি টি২০ শিরোপা ঘরে তুললেও ইংল্যান্ড ২০১০ সালের শিরোপা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিল।
এবার বেন স্টোকস দলে না থাকলেও মইন আলি আর ক্রিস ওকসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর টি২০ শিরোপাও ঘরে তুলতে মরিয়া ইয়ান মরগান।
আর সেই ব্র্যাথওয়েইট এবার দলে না থাকলেও টি২০ স্পেশালিস্ট ক্রিস গেইল ও ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে ইংলিশদের প্রতিরোধে প্রস্তুত কাইরন পোলার্ড।