ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য রায়হান উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, ‘ওসমান হাদির হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী মহল, এজেন্সি ও উপদেষ্টা পরিষদের কেউ জড়িত—এটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।’
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেওয়া এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।
ডাকসু নেতা রায়হান উদ্দিন বলেন, শুরুতেই ভারত পালিয়ে যাওয়ার একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হলো। পরবর্তীতে ‘পুশব্যাক’-এর আলাপ হাজির করে শুটারকে মৃত অবস্থায় উপস্থাপনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধ কিংবা ক্রসফায়ারের নতুন স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই সম্মিলিত গং সম্ভবত শ্যুটারকে মৃত অবস্থায়ই ‘উদ্ধার’ করবে। অর্থাৎ, পুরোনো নাটকের পুরোনো স্ক্রিপ্ট।
রায়হান উদ্দিন বলেন, আমরা স্পষ্ট ঘোষণা দিতে চাই—হাদী ভাইয়ের হত্যাকারীকে অবশ্যই জীবিত গ্রেফতার করতে হবে এবং এই হত্যার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।
ডাকসু এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসর ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের দালালকে রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। সবার মুখোশ উন্মোচন হওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয় নগরে নির্বাচনি প্রচারণার সময় পরিকল্পিতভাবে ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ওসমান এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়; সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাদির লাশ দেশে আনা হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে উপস্থিত হন লাখ লাখ ছাত্রজনতা। জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও জাতীয় কবি কাজী জনজরুল ইসলামের কবরের পাশে শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে সমাহিত করা হয়।






































