সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে তিনটি সামাজিক সংগঠন।
সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহন মালিক সমিতি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে হঠকারী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতি এই আহ্বান জানান সংগঠন তিনটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।
এতে বিবৃতিদাতারা হলেন- বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এবং উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল।
নেতারা বলেন, সরকার হঠাৎ ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি এবং মাত্র একদিনের মধ্যে তা কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ায় সব ধরনের পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে শুধুমাত্র জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় জনদুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় নেমে আসার কারণে প্রতি শুক্রবার বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা চলছে। এ অবস্থায় কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে লাখ লাখ প্রার্থীর জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।