• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের নাম না দেখে হতাশ হইনি: রেজা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১, ০৮:০১ পিএম
গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের নাম না দেখে হতাশ হইনি: রেজা

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের নাম না দেখে মোটেও হতাশ হইনি বলে মন্তব্য করেন গণঅধিকার পরিষদের  আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। 

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে দলটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেজা কিবরিয়া এ কথা বলেন। 

টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও দলটির সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। 

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক  ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পলিটিক্যাল জার্নাল পলিটিকো বাইডেনের আমন্ত্রণের জন্য বিবেচিত শতাধিক গণতন্ত্র দেশের বা সরকারের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে আমরা বাংলাদেশের নাম এবং উপস্থিতি না দেখে মোটেও হতাশ হইনি। কারণ, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশে মানুষের কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। কেউ কথা বললেই তার ওপর হামলা মামলার স্টিম রোলার চলে।”

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার ধরন ও গতিবিধি দেখে মনে হয়েছিল, তারা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এমন সংগঠিত হামলা চালিয়েছে। এর আগেও নুরুল হক নুরের উপর ১৯ বার হামলা হলেও একটি হামলারও বিচার হয়নি।”

হামলার কারণগুলোর রহস্য উন্মোচন ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ওই নেতা। 

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, “একই সঙ্গে সরকারকে ভিন্নমতের উপর দমন-পীড়ন,  সহিংসতা ও হামলা বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।”

সংবাদ সম্মেলনে দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর জানান, গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে কিছু বুঝে উঠার আগেই পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা রড,বাঁশ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে এবং সামনে থাকা নারীদের টেনে হেঁচড়ে ওড়না ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে।” 

হামলার সময় আহত নেতাকর্মীরা পাশে থাকা পুলিশের সহযোগিতায় চাইলেও তারা কোনো সহযোগিতা না করে এক প্রকার নিরব ভূমিকা পালন করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 

নুর আরও বলেন, “এলোপাতাড়ি হামলার একপর্যায়ে আমাকে নিয়ে কিছু নেতাকর্মী পুলিশের গাড়িতে আশ্রয় নিলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পালের নেতৃত্বে ৩০/৪০  জনের একটি দল আমাকে এবং রেজা কিবরিয়াসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের টার্গেট করে দফায় দফায় হামলা করে। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানব প্রাচীর তৈরি করে রেজা কিবরিয়া ও আমাকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।”

আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে স্মরণ করে সাবেক ডাকসু নেতা আরও বলেন, “বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে যদি এমন হামলার স্বীকার হতে হয়। তাহলে কোথায় আছি আমরা, কোথায় আমাদের গণতন্ত্র?”

টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে রেজা ও নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর।

Link copied!