• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, প্রশ্ন শেখ হাসিনার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম
বিএনপি কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, প্রশ্ন শেখ হাসিনার

বিএনপি কার নেতৃত্বে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে—এমন প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “নির্বাচন তারা কাকে নিয়ে করবে? নির্বাচন করলে ওদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? তাদের চেয়ারপার্সন তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। অসুস্থতা বিবেচনায় আমি তাকে বাসায় থাকতে দিলাম। একটা কুলাঙ্গার ছেলে তৈরি করে দিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও মানিলন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলায় জড়িত, তাতে তো সন্দেহ নাই।”

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের যে বীভৎস চেহারা। এটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালেও ঘটিয়েছে। ২০০১ সালেও আমরা তাদের চেহারা দেখেছি। এরা দেশের ক্ষমতায় যখন ছিল তখন আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, জেলে পুড়িয়েছে। এরা খুন করা ছাড়া কিছুই বোঝে না, জানে না। তত্ত্বাবধায়কের আমলে মুচলেকা দিয়ে চলে যায়। এখন না কি ওখানে বসে জুয়া খেলে আর টাকা ইনকাম করে। আর ওখান থেকে জ্বালাও-পোড়াও করার নির্দেশ দেয়। বিএনপিতে আর কোনো নেতা নাই? ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড থেকেই হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের শুরু হয়। সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বংস শুরু। জিয়াউর রহমান মুখে বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হবেন, তাহলে তার আমলে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ হয় কীভাবে?”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সবাইকে যার যার এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে, তাদের ধরে ওই আগুনে ফেলতে হবে। যে হাতে আগুন দেয় ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। তা না হলে তাদের শিক্ষা হবে না। প্রত্যেক এলাকায় কত বিএনপি-জামায়াত আছে, খুঁজে বের করতে হবে। এদের ধরিয়ে দিতে হবে। এরা যাতে মানুষের জান-মাল নষ্ট করতে না পারে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুষ্কৃতিকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে নির্বাচন বানচাল হবে না। তাদের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। তারা নির্বাচনে আসবে কি না, জানি না। এলেও আসবে ওই নমিনেশন বাণিজ্য করতে।”

মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন না করার জন্য সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ কথা ভাবলে চলবে না, ওরা (বিএনপি) তো আসবে না। একটা সিট না পেলে কী হবে! এ চিন্তা যেন কারো মাথায় না থাকে। আমরা মনোনয়নে যে সিদ্ধান্ত দেবো, সেটা মানতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আবারও ভোটের মাধ্যমে সরকারে আসতে হবে।”

কারা পণ্য মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবজি আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। এটা বাজারে না এনে রেখে দেবে। দাম বাড়িয়ে দেবে। কারা মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে খুঁজে বের করতে হবে।”

ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? হাসপাতালেও বোমা মারছে। মা ভেবেছিলেন, সন্তান নিয়ে হাসপাতালে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু সেখানেও ইসরায়েলিরা বোমা হামলা করছে। আমরা খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছি। ঢুকতে দিচ্ছে না। পাশে মিশরে রেখেছি। আমাদের দেশে বিএনপিও হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলে না।”

Link copied!