• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষায় একগুচ্ছ নির্দেশনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৭:১১ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষায় একগুচ্ছ নির্দেশনা

ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া যেকোনো তথ্য ও সেবার জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আগাম প্রস্তুতি সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানতে পারে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো তথ্যের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০১৩১৮-২৩৪৫৬০) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে (০১৭৭৫-৪৮০০৭৫) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োজিত করতে হবে।
• ওই এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারদের প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে।
• ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় মজুত জিও ব্যাগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য জেলা হতে জিও ব্যাগ সংগ্রহ করতে হবে।
• ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাসমূহের নাজুক এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে।
• জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।
• বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করলে পাউবোর পক্ষ হতে বোতলজাত পানি এবং শুকনা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনা খাবার ও নৌযান প্রস্তুত রাখতে হবে।
• সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের এলাকায় পাউবোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাইট পরিদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
• ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার জেলা-উপজেলার সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিকভাবে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনো অবস্থায় কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
• ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলীরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, যাতে প্রয়োজনের সময় জনবলসহ পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায়।
• ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্য পর্যায়ে অবহিত করবেন। গণমাধ্যমকে গৃহীত ব্যবস্থা বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
• ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Link copied!