আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, “আজ অনেকেই জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু ইতিহাস পরিষ্কার যে, তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনি।”
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “খুনি জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশধারী পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন, তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পেয়েছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজাকারদের তার মন্ত্রিসভার মন্ত্রী করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয় সেই আইন বন্ধ করার অপচেষ্টাও করেছিলেন। এতে কি প্রমাণ হয় না জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন?”
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বলেন, “একজন শিক্ষক যে কতটা মিথ্যাবাদী হতে পারেন, তা মির্জা ফখরুলকে না দেখলে বুঝতাম না। মির্জা ফখরুল শিক্ষক হয়েও ২১ আগস্টের হামলা নিয়ে চরম মিথ্যাচার করে আসছেন। এটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। যত মিথ্যাচারই করুক তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিটে তাদের নেতাদেরই নাম এসেছে। সে চার্জশিট তো আওয়ামী লীগ সরকার দেয়নি। তাদের নেতাদের জবানবন্দি শুনেই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “আমাদের দেশ ও উন্নয়নকে পিছিয়ে নিতে দুষ্কৃতিকারীরা ষড়যন্ত্র করেই চলছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল, যারা দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনো রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করছেন। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে তারা নানান ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। এ ষড়যন্ত্রের মাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।”
অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ‘নীলদল’-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেফতাহুল ইসলাম। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।