• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
বাজেট ২০২৩-২৪

দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩, ১১:১৭ এএম
দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে

দেশের ৫২তম বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করবেন তিনি। এবারের বাজেটে বরাবরেই মতোই কিছু পণ্যের দাম বাড়বে। অন্য দিকে দাম কমতে পারে কিছু পণ্যের।

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। এ পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে। এতে কমতে পারে মাংসের দাম।

কমতে পারে দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসছে বাজেটে।

মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মিষ্টি জাতীয় পণ্যের দাম কমবে।

বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর, ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এ বাজেটে তাদের বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এর ফলে কমবে ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ।

এছাড়া বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।

দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

দেশীয় কোম্পানির মুঠোফোন উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। যেসব প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই বানাবে এবং মুঠোফোন উৎপাদন করবে, সেসব কোম্পানির ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট বসতে পারে। কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন বানালে বিদ্যমান ভ্যাট ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ এবং যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু দেশে সংযোজন করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। এখন ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসে। ফলে স্থানীয় বাজারে স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে।

অন্যদিকে কলমের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ছাড়া টিস্যু, ন্যাপকিন, প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যারসহ গৃহস্থালির পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। আমদানি করা ফ্যানে সম্পূরক শুল্কহার বাড়তে পারে।

প্রতি বাজেটেই বাড়ে সিগারেটের দাম। এবারও সব ধরনের সিগারেটের মূল্যস্তর ও শুল্ক—দুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। যেসব সিগারেট কোম্পানি টার্নওভার কর দেয়, তাদের করহার ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হতে পারে।

স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১৫ শতাংশ বসতে পারে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে সফটওয়্যার আমদানি করলেও ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হতে পারে।  ফ্রিজ-রেফ্রিজারেটর আমদানি করা হলে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে।

Link copied!