• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম
‘দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে’

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আগামীর বাংলাদেশ হিসেবে আজকের অগ্রগতি অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় যদি বাংলাদেশকে পৌঁছাতে হয়, তাহলে দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।”

রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট উপলক্ষে আলোচনা : বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশের পতাকার বিরুদ্ধে চার তারার পতাকার পক্ষে যুদ্ধ করেছিল। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, আঁচলের তলায় ছায়া দিয়ে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা যদি বন্ধ না হয়। দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব না।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গঠিত সরকারের অধীনেই সেক্টর কমান্ডাররা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, বেতন পেতেন। জিয়াউর রহমানও ৪০০ টাকা বেতন নিতেন। ঐতিহাসিক সত্যটা এই যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণটা পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে ছিল। ঘটনাপ্রবাহ তাই প্রমাণ করে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হচ্ছেন জিয়া ও তার পরিবার। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার আস্থাভাজন বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিলেন।”

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “জিয়া বঙ্গবন্ধুর সমস্ত হত্যাকারীদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, দেশ ত্যাগের সুযোগ করে পুনর্বাসন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করার জন্য জারি ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে বৈধতা দিতে ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সেটিকে আইনে রূপান্তরিত করার জন্য সরকারি দলের পক্ষে প্রস্তাব এনে, সেই আইন পাশ করা হয়েছিল।”

Link copied!