• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের নীরব কান্না


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের নীরব কান্না

চলমান মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা। উচ্চবিত্ত পরিবারেও পড়ছে প্রভাব। দ্রব্যমূল্যের লাগাম ছাড়া ঊর্ধ্বগতি যেমন মধ্যবিত্তের নীরব কান্নায় পরিণত হয়েছে, তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে কষ্টের কালো মেঘ।

একদিকে করোনার প্রভাবে কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে, কর্মহীন হয়েছে মানুষ। ডলার সংকটে আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে; আবার হঠাৎ করেই সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা লাভের কারসাজি। সব মিলিয়ে দ্রব্যমূল্যর লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মধ্যম আয়ের মানুষ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কল্যাণপুর, শ্যামলী বাজার, আগারগাঁও বাজার, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি।

রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় বাজার করতে আসেন আহমেদ সোহরাব। তিনি বলেন, “দিন দিন যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে কিছুদিন পর না খেয়ে থাকতে হবে। প্রতিদিন বাজার করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, সে টাকা সারা দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও রোজগার করতে পারি না “

ফকিরাপুলের একটি মেসে থাকেন বেসরকারি কলেজের ছাত্র সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে আমার পড়াশোনাসহ থাকা-খাওয়ার খরচ চালায়। আগে প্রতি মাসে আমাকে যে টাকা দিত, এখনো সেই পরিমাণ টাকাই দেয়। তবে আগের থেকে এখন খরচ বেড়ে গেছে, মাসের বাজার করতে গেলেই এখন আগের থেকে দ্বিগুণ টাকা লাগে। তারপর বাসা ভাড়াও বেড়ে গেছে।”

রাজধানীর বাজারগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও অন্যান্য পণ্যের উচ্চমূল্য এখনো রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। কিছুদিন আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৫ চাকা কেজি দরে।

এখনো কিছুটা কম দামেই বাজারগুলোতে গোল আলু (নতুন) বিক্রি হচ্ছে পাঁচ কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে। এ ছাড়া প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, বড় ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চালকুমড়ার পিস ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও মটরশুঁটি ১২০ টাকা কেজি। এছাড়াও চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, আর দেশি রসুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। দেশি আদার কেজি ৯০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা।

Link copied!