• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সবজির দামে স্বস্তি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
সবজির দামে স্বস্তি

রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। একদিনের ব্যবধানে, প্রকারভেদে সবজির দাম কমেছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেইসঙ্গে কমেছে মাছ ও মুরগির দামও।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কারওয়ান বাজারে খুচরা সবজির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বদলে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। পাশাপাশি বাঁধাকপি ৫০ টাকার স্থলে ৪০ টাকা, লাউ ৫০ টাকার স্থলে ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে কমে ১০০ টাকা কেজি এবং করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকার স্থলে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকার স্থলে  ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকার স্থলে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে মাছের বাজারে প্রতি কেজি কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২৬০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা, টেংরা ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা সংকটে বিক্রি কমেছে। এতে লোকসানের শঙ্কা করছেন অনেক বিক্রেতাই। আর ক্রেতারা স্বস্তির খবর জানিয়ে বলছেন, চলতি দামে বাজার স্থিতিশীল থাকলে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে নিত্যপণ্যের বাজার।

কফিল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা এসেছেন কারওয়ান বাজারে। সবজির দোকানের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, “আজকে বাজার করে শান্তি পাচ্ছি। সবজির দাম অনেক কমেছে। এই দামে সবজি বিক্রি হলে সকলেই খুশি থাকবে। বাজার করতে বেশি সময় লাগলো না। আর দাম হাতের নাগালে থাকলে দর কষাকষিও করতে হয় না। এটা আরেক শান্তি।”

নূর আলম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “আজকে বাজারে সবজির দাম কম। যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তা ক্রেতার হাতের নাগালের মধ্যে বলাই যায়। আজকে অনেক দিন পর অনেকগুলো সবজি কিনছি। বাজারে দরকষাকষি নেই। বৃষ্টির কারণে বাজারে দাম কমতে পারে। কালকে কি হবে বলা যাবে না।”

আবুল বাশার নামের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, “শুক্রবার বাজারে ক্রেতা বেশি হয়। কিন্তু আজকের চিত্র একটু উলটো। আমদানি বেশি, কিন্তু ক্রেতা নেই। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা আসতে চায় না। কেনা দামেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে। সবজি রেখে দিলে লোকসান। বিক্রি করে দিলে যা আসবে, সেই টাকা দিয়ে অনন্ত পরের দিন সবজি কিনে বিক্রি করা যাবে।”

খলিল নামের আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, “বাজারে মালামালের অতিরিক্ত চাপ। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। সবজি রেখে দিলে যে লোকসান হবে। তার ক্ষত শুখাতে ১ মাস সময় লাগবে।”

Link copied!