• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘সবকিছুর দাম বাড়ে, বেতন তো বাড়ে না’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
‘সবকিছুর দাম বাড়ে, বেতন তো বাড়ে না’
শীতকালীন সবজি দেখছেন ক্রেতা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

চলছে শীতের মৌসুম। বাজারভর্তি শীতকালীন সবজি। তবুও বাড়তি দামের কারণে কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাজারে এসে রীতিমতো মেজাজ হারাচ্ছেন এসব ক্রেতারা। কারণ ভরা মৌসুমেও কমেনি সবজির দাম।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া বেগুন ৭০, শিম ৭০, মুলা ৩০, শসা ৬০, টমেটো ৬০, লাউ ৮০ ও করলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

অপরদিকে দামের পরিবর্তন না আসেনি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ও কাঁচা মরিচের দামে। এদিন বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ ও বাঁধাকপি ৩৫ এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে সব ধরনের সবজির বিক্রি হলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

সবজি কিনতে আসা জন নামের এক ক্রেতা বলেন, “আগে কম টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার করতে পারতাম। আর এখন মানি ব্যাগেভর্তি টাকা এনে কম সবজি কিনতে হয়। সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। এতে কম কম করে সবিজ কিনতে হচ্ছে।”

মোস্তাফিজুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “নির্বাচনের আগে সবজির দাম একটু কম ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর আবার বেড়েছে। সরকারের কাছে একটাই প্রত্যাশা নিত্যপণ্যের বাজার দর যেন একটু কমানোর ব্যবস্থা করে। না হলে আমরা পেট ভরে খেতে পারব না। আমাদের বেতন বাড়ছে না। কিন্তু সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।”

সবজি ক্রেতা জাকির বলেন, “প্রতিটা সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আজকে বাজার করতেই পারছি না। যেগুলো মনে হচ্ছে কিনব, সেগুলোর দামই বেশি। এখন না পেরে হয়তো কম হলেও কিনতেই হবে। তবে চাহিদা মাফিক কিনতে পারব না।”  

এদিকে ভরা মৌসুমেও সবজির এমন দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দোষারপ করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে।

আসিক নামের এক খুচরা সবজি বিক্রেতা বলেন, “আজকে সবজির বাজারে আগুন। সব সবজির দাম বাড়ছে। শুধু কমের মধ্যে আছে কপির দাম। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সবজির দাম বাড়ছে। তারা মজুত করছে। ক্রেতারা আমাদেরকেই ধরছে। আমরা তো দুই বস্তা করে পণ্য কিনি। আমরা তো মজুত করি না।”

রাজিব নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “সবজির মধ্যে ভালো-মন্দ রয়েছে। ভালো সবজির দাম একটু বেশি। আর যেটার মান খারাপ সেগুলোর দাম কম। ক্রেতারা দরকষাকষি করবে। এটাই স্বাভাবিক।”

Link copied!