শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ধৈর্য ধরে মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোরকম হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে যে দাবি ছিল, তা সরকার মেনে নিয়েছে। তারপরেও তারা যে আন্দোলন করছে, তা ধৈর্য ধরে মোকাবিলা করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
পাশাপাশি, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে করণীয় ঠিক করতেও সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শেখ হাসিনা বলেছেন, “দলের মধ্যে যে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা রয়েছে, তা দ্রুত মিটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।”
দলের ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করে দলীয় প্রধান আরও বলেন, “ভবিষ্যতে এমন আরও খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে। সেক্ষেত্রে যেন আমরা সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করতে পারি, সে দিকটিতে নজর দিতে হবে।”
তবে জরুরি সেই বৈঠকে আর কী কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য সাংবাদিকদের জানাতে রাজি হননি কোনো নেতাই। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড, আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।