• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্রিকসের ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সংসদে বিল পাস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম
ব্রিকসের ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সংসদে বিল পাস
ছবি : সংগৃহীত

উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের ব্যাংক ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ থেকে অন্য মুদ্রায় ঋণের সুবিধা পেতে জাতীয় সংসদে ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করা হয়। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব দিলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি কন্ঠভোটে দেন। কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আনিসুল হক বলেন, “ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ব্রিকস জোট ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) নামক একটি বহুজাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। এনডিবি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান। বর্তমানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ মোট আটটি দেশ এর সদস্য।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে পেইড ইন শেয়ারর্স ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কলএ্যাবল শেয়ার ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশের মোটা শেয়ারের পরিমাণ নয় হাজার ৪২০ এবং চাঁদার পরিমাণ ৯৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে পেইড ইন মূলধন হিসাবে বাংলাদেশের প্রদেয় পরিমাণ ১৮৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২০৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা), যা সাত কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।”

আনিসুল হক বলেন, “পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য হলে ডলার ছাড়াও অন্য মুদ্রায় ঋণ পাওয়া যাবে। তাই নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল, ২০২৩ জাতীয় সংসদে আনা হয়েছে।”

ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ঋণের সম্মতি দিয়েছে উল্লেখ আইনমন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাংকটি ব্রিকস গোষ্ঠী থেকে করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং এ ব্যাংকে যারা সদস্য হবেন তারা এ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। আমরা যেটা করছি এ ব্যাংক আইনটা করার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে এরই মধ্যে আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী তারা আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ আইনটা করার পরই আমরা সেই চুক্তিতে সদস্য হবো এবং সদস্য হওয়ার পরই সেই ঋণটা নিতে পারব। এজন্যই এই আইনটা পাস করা অত্যন্ত জরুরি, সে জন্যই এ বিলটি আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক শুধু ডলারে ঋণ দেয়। আর এ ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেয়া হবে সেটা শুধু ডলারে ঋণ দেয়া হবে না, এটা একটি শিথিলযোগ্য, স্টালিং পাউন্ড, ইউরো, ডলার, রুবল, ইউয়ান যে কোনো কারেন্সিতে ঋণ দিতে পারবে এ ব্যাংক। সেই জন্য আমার মনে হয় এটা অত্যাধুনিক একটা ব্যাংক হচ্ছে।”

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “নতুন যাত্রা করা ব্যাংকটির সঙ্গে যাতে আমরা থাকতে পারি এবং বেনিফিটগুলো পাই এজন্য এই আইনটি একান্ত প্রয়োজন এবং বেনিফিট পাওয়ার রাস্তাটাও পরিষ্কার হয়ে গেছে।”

Link copied!