বিদেশিরা নয়, দেশের জনগণ ক্ষমতায় বসাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি দূতাবাসের যারা কথা বলেন, জেনেভা কনভেনশনে একটা নীতি আছে, তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরাই সমাধান করব।”
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
১০ ডিসেম্বরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের জনগণসহ বিদেশিরা আশঙ্কা করেছিল ১০ তারিখ মনে হয় এখানে একটা কারবালার রোল পড়ে যাবে এবং এখানে একটা ধ্বংসলীলা দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা কি হয়েছে? দুই দিন আগে সচিবালয়ে আমি বলেছিলাম আমাদের আকাশে মেঘ ঘনীভূত হয় আবার এই মেঘ কেটেও যায়। আমি এখানেই বলেছিলাম। কি হয়েছে? এগুলো হবে আবার একসময় শান্তিও আসবে। এ দেশটা আমাদের সবার। এদেশ তো আওয়ামী লীগের একার নয়।”
দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এখন একটা প্রতিকুল পরিবেশে সাঁতার কাটছে দেশ। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রতিকূলতাকে চ্যালঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এখানে আমার কঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেগুলো মোকাবিলা করাই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করাও কঠিন দায়িত্ব আমার ওপর।”
তিনি বলেন, “সোমবার পুর্নাঙ্গ কমিঠি গঠন হবে। বিরোধী দলের শান্তিপুর্ণ আন্দোলন মোকাবিলা করার সক্ষমতা আওয়ামী লীগের রয়েছে। জঙ্গিবাদী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি যাদের দোসর তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে।”
মেট্রোরেলের কাজের কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “আগামী বছর এমআরটি লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এরপর কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার পাতাল রেলের কাজ শুরু হবে।”
বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চলতে হচ্ছে। নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। ভারতে যেহেতু সংক্রমণ শুরু হয়েছে, আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতি এখন।”
তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিবাদী শক্তির সাম্প্রদায়িক শক্তি তাদের দোসর তারাও ও ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গঠনমূলক সমালোচনা কে আমি স্বাগত জানাই। তবে, বিদ্বেসমূলক সমালোচনা আর বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা ঠিক না। দেশে উন্নয়নের রূপান্তর ঘটেছে। যার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”