• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০২:৩২ পিএম
‘ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে’
ফাইল ফটো

ঘরে বসেই অ্যাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান তিনি বলেছেন, “‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। আমাদের কমিশন প্রযুক্তিনির্ভর। অতীতে ঢাকঢোল বাজিয়ে, হাতি-ঘোড়া নিয়ে মনোনয়ন সাবমিমশন করা হতো। ফলে আচরণবিধি ভঙ্গ হতো। এ ছাড়া নমিনেশন সাবমিশনে বাধা দেওয়া হতো। তবে এ অ্যাপে সেই সমস্যা থাকবে না।”

রোববার (১২ নভেম্বর) অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান হাবিব বলেন, “অ্যাপে ভোটার যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। আমরা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছি, এটা স্বচ্ছতার প্রতীক। এ অ্যাপ ফেয়ার এবং ট্রান্সপারেন্ট। আশা করি অ্যাপের সুফল ভোগ করব। এ উদ্যোগ বিদেশেও প্রশংসিত হবে।”

অ্যাপের কার্যক্রম তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এ অ্যাপসের মাধ্যমে বিভাগওয়ারি আসনগুলোর তথ্য যেমন মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন। এ ছাড়া অ্যাপসটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে। অ্যাপসটির সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের পেরিওডিকেল তথ্য (casted vote) জানা যাবে।”

নির্বাচনী ফলাফলের সার্বিক অবস্থাসহ ‘ফলাফল বিশ্লেষণ’ নামক অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার পূর্বতন নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনাও পাবেন বলে জানান আহসান হাবিব খান।

প্রযুক্তিনির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিল উল্লেখ করে আহসান হাবিব খান বলেন, “এ ধারাবাহিকতায় মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল ও মোবাইল অ্যাপস এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে যুক্ত হলো। তফসিল ঘোষণার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।”

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। ফলে এবার ঘরে বসেই এই অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থী।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার এ পদ্ধতি চালু করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সফটওয়্যারের পেছনে ৯ কোটি ১১ লাখ এবং হার্ডওয়ারের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!