• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : হানিফ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম
কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : হানিফ
ছবি : সংগৃহীত

যারা কর্মসূচির নামে পুলিশকে হত্যা করে, নৈরাজ্য চালায় তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, “আগুন সন্ত্রাসীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ হত্যা করে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করার পর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণের পর সমাবেশ পণ্ড হওয়ার কারণে তারা হরতাল দিচ্ছে। নিজেরা অপকর্ম করে তার দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এবার আর রক্ষা হবে না। এই অপকর্মের দায় মির্জা ফখরুল সাহেবদের বহন করতে, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি দেশে এবং বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ বিএনপি নামক দলটি ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি এদের চরিত্র কখনোই পাল্টায় না। ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে। আবারো প্রমাণ হয়েছে তারা উন্নয়ন চায় না, দেশ ধ্বংস করতে চায়। সেটা আবার প্রমাণিত হয়েছে।”

হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রাম করেছে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বহু আন্দোলন করেছি। জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই স্বাধীন বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বহু আন্দোলন হয়েছে। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছিল, ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করেছেন আমরা আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছিলাম। এরপর ২০০৬ সালে আবার অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা আঁকড়ে চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের অগণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ প্রতিহত করেছিলাম তখনও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়নি। বরং বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি।”

হানিফ বলেন, “ঢাকার রাজপথে আমাদের প্রয়াত নেতা সাহারা খাতুন, প্রয়াত নেতা নাসিম, আজকের সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নুরের মতো সিনিয়র নেতাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল। তারপরও আমরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেনি। অথচ আমরা দেখছি ২০১৩ সালে পর থেকে প্রত্যেক আন্দোলনে মূল টার্গেট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৩ সালে গাইবান্ধায় পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা দেখেছিলাম রাজশাহীতে। কীভাবে পুলিশ পিটিয়ে রাজপথে ফেলে রেখেছিল।”

হানিফ আরও বলেন, “বিএনপি যখনি আন্দোলনে নামে তখনি দেখা যায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে। তারা এদেশকে ধ্বংস করতে চায়, দেশের প্রশাসনযন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। গতকালকে (২৮ অক্টোবর) আবার আমরা দেখলাম পুলিশ সদস্যকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পুড়িয়ে দিতে চায়। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাই। এসব ঘটনা আমাদের একাত্তর মনে করিয়ে দেয়।”

Link copied!