সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের শক্তি কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপির হুমকি-ধামকিতে কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। এগুলো অসাড়, ফাঁকা বুলি, বেলুনের মতো চুপসে যাবে।”
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা দেশের প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিত্যপণ্যের মূল্যের বিষয়টি বিশেষ নজর দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রে সব দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে।”
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার উল্লেখ সেতুমন্ত্রী বলেন, “এই নির্বাচনে ৪১ ভাগেরও বেশি ভোটার অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে ২৮ দল অংশ নিয়েছে। সাংবিধানিক বিধান মেনে জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা কারও অগণতান্ত্রিক ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচনের বাইরে থাকেনি। আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে জাতি সাড়া দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নতুন সংসদের উদ্বোধনী দিনে যেদিন রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এই দিনটিতে যারা আজকে কালো পতাকা মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন, কর্মসূচি দিয়েছেন। তাদের উচিত নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য বিএনপির দলীয় অফিস কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা। তাদের নেতাদের বাড়িও কালো কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে তার জন্য পস্তাতে হবে।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিদেশি শক্তির মদদ পাবে বলে তারা যে আশার প্রহর গুনছে, সে চেষ্টাও সফল হবে না। কারণ এই নির্বাচনকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দিত হয়েছেন।”
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :