‘গুজব ছড়িয়ে কেউ অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না’

সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, “আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার ইউনিট আছে। সবাই মনিটরিং করছে। আশা করব গুজব ছড়িয়ে কেউ অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।”

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন জানিয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”

সম্মেলনের বিষয়টি তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন, সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ইতোপূর্বে অনেকবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।”

আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র‍্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেকটা গেইটে সার্চওয়ে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এছাড়া আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং ও ম্যানুয়াল সুইপিং করা হয়েছে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।”

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “২ জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান, সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। ২ জঙ্গি ছিনতাই হয়েছে এ ব্যাপারে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বে যত বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা আছেন তাদের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবচেয়ে বেশি বিপদজনক। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্ট, টুঙ্গিপাড়া। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।”