• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পাথর দিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা, অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
পাথর দিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা, অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার
ঘটনাস্থল। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র‍্যাব-১১-এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আসামি নান্নু ভাইরাল ভিডিওর ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা চারজনের একজন। এ নিয়ে এই হত্যার ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (১৩ জুলাই) সকালে ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে সজীব ও রাজীব নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বুধবার (৯ জুলাই) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইটপাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। 

হত্যাকাণ্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়।

Link copied!