• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ভয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন অনেকে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৭:০০ পিএম
ভয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন অনেকে
ডিএনসিসির ডেঙ্গু হাসপাতালে প্যথলজি বিভাগের সামনে পরীক্ষা করাতে আসা মানুষের ভিড়

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। হাসপাতালগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা নিয়েও চাপ তৈরি হয়েছে রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে।

সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতাল সবখানে ডেঙ্গু পরীক্ষার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই ভয়ে এসেছেন পরীক্ষা করাতে।

সরজমিনে হাসপাতালগুলোতে দেখা যায়, কেউ জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে। আবার কেউ আসছেন আতংকিত হয়ে। তবে বেসরকারি থেকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের চাপ অনেক বেশি।

বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গু পরীক্ষার দীর্ঘ লাইন এখানে নেই। হাসপাতালগুলোতে অনেকে নিয়মিত চেকআপের পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন। আলাদা করে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো লাইন দেখা যায়নি।

ধানমণ্ডি আনোয়ার খান হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের চিকিৎসক জানান, এখানে আমাদের ৪০ শয্যার ডেঙ্গু ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে আসেন। আবার অনেকে নিয়মিত চেকআপের সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষাও করে নেন।

তেজগাঁও থেকে সকাল ১০ টায় জ্বর নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে ডিএনসিসি হাসপাতালে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মেহেদী হাসান। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এখানে শুধু ডেঙ্গুর চিকিৎসা হওয়ায় রোগীর চাপ একটু বেশি। এসে টিকেট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পরীক্ষা করিয়েছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন আজ বা আগামীকাল রিপোর্ট হয়ে যাবে।”

একই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে বাড্ডা এলাকা থেকে এসেছেন শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “তাদের মেসে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তিনিও আজ পরীক্ষা করাতে এসেছেন। তাঁর দাবি, একরকম ভয় থেকেই আজকে পরীক্ষা করাতে আসা।”

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মো. আলিফ (১৫) সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “প্রথমে আমার জ্বর হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক।”

মো. শরীফুল ইসলাম (২৫) নামের চিকিৎসাধীন আরেক রোগী সংবাদ প্রকাশকে জানান, গত দুই দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।

ডিএনসিসি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কর্নেল একেএম জহিরুল হোসাইন খান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী বাড়ে। তবে এ বছর রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেশি। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরীক্ষার সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে এখানে। বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে এখানে আসেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন এক হাজার লোকের পরীক্ষা করানোর মত সক্ষমতা রয়েছে। তবে অনেকে আতংকিত হয়ে পরীক্ষা করাতে আসায় ভিড় বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই ডেঙ্গুতে কেউ আতংকিত হবেন না। সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি।

Link copied!