• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বছরজুড়ে আলোচনায় লোডশেডিং, গ্রিড বিপর্যয়


নুর মামুন
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ১১:৫৪ এএম
বছরজুড়ে আলোচনায় লোডশেডিং, গ্রিড বিপর্যয়

অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় চলতি বছর অর্থনীতিটা ভালো যায়নি বাংলাদেশের। করোনা মহামারির বিপর্যয় শেষ হতে না হতেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু। এ যুদ্ধের ফলে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে থাকে। রিজার্ভে চাপ ও নানা সংকটের মধ্যে দেশে লোডশেডিং ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

শিডিউল করে লোডশেডিং

বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় লোডশেডিং শুরু হয়, যা এখনো চলমান। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবারের লোডশেডিং ভিন্ন। কোন এলাকায় কখন, কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না, তা আগেই জানিয়ে দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো।

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন সারা দেশ

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করে। এর মধ্যে গত ২৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে দেশের অধিকাংশ স্থানে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

শিল্পকারখানায় সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তনের ঘোষণা

লোডশেডিং কমাতে এলাকাভেদে সপ্তাহে এক দিন একেক শিল্প এলাকার শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ১১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪(২) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য (প্রজ্ঞাপনের) ২নং কলামে বর্ণিত বারে জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ধার্য করা হলো। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের এই দিন ধার্য থাকবে।

এরপর থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী ছুটির দিন পরিবর্তন করা হয়।  

দৈনিক ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে রামপাল কেন্দ্র

কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

পিডিবির তথ্যমতে প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত। বাগেরহাটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি মোংলা-মাওয়া-আমিনবাজার গ্রিডলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬২০ থেকে ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে।

তবে এখনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঠিক করেনি কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পিডিবি এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করবে এবং শিগগিরই তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্ল্যান্টের উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ দ্রুত শেষ হবে। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করছি।”

Link copied!