বিএনপি ও বিরোধীদের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর জুরাইন, ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদে যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
আন্তঃজেলা বাস চলাচল কিছুটা কম থাকলেও, লোকাল সার্ভিস ছিল বিগত দিনের অবরোধের তুলনায় অনেক বেশি। সেই সঙ্গে লেগুনা, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল ব্যক্তিগত গাড়িও। অন্যদিকে বরাবরের মতো কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
জুরাইন রেলগেট গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডের আনন্দ, বোরাক, রাইদা ও নগর পরিবহনের বিআরটিসি বাসসহ এদিক দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল করছে। দেখা গেছে বিভিন্ন দপ্তরের স্টাফ বাসও। ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানসহ অন্যান্য পণ্যবাহী পরিবহন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ বিষয়ে বোরাক পরিবহনের হেলপার শাহালম জানান, আগের অবরোধের চেয়ে আজ অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। যদিও গতকাল রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি।
যাত্রাবাড়ি থেকে নিউ মার্কেট যাবেন মশিউর । তিনি বলেন, যানবাহন বেশি থাকায় দুর্ভোগ কম হচ্ছে।
জুরাইন থেকে মতিঝিল যাবেন ব্যাংক কর্মকর্তা সাহানা। তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা গিয়ে দেখা যায়, লোকাল বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। এমনকি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
এ রুটে চলাচলরত তুরাগ পরিবহনের চালক জনি বলেন, “ভাই কত দিন বসে থাকবো। পেট আছে, সংসার আছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। আমরা এরকম হরতাল অবরোধ চাই না।”
জুরাইনে দায়িত্বরত ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) পবিত্র বিশ্বাস বলেন, গত অবরোধের তুলনায় আজকে গাড়ির চাপ একটু বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছ।