• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মুখোমুখি রেজা-নুর, ভাঙনের মুখে গণঅধিকার?


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম
মুখোমুখি রেজা-নুর, ভাঙনের মুখে গণঅধিকার?

গণঅধিকার পরিষদে হঠাৎ করেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দলের দুই শীর্ষনেতা নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার বিরোধ চরম আকার রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (১৯ জুন) রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দলের আহ্বায়ক করা হয় রাশেদ খানকে। তিনি এর আগে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

এর আগে একাধিক ঘটনায় রেজা-নুর প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি তারা একে-অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছেন।

গণঅধিকার পরিষদের এই দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ নিরসনে রোববার (১৮ জুন) ঢাকায় রেজা কিবরিয়ার বাসভবনে দলের নেতারা বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে থাকা একাধিক নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৈঠকেও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফলে কোনো সমাধান সেদিন হয়নি।

গণঅধিকার পরিষদের সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, রোববারের বৈঠকে রেজা কিবরিয়া দলের সদস্য সচিব নুরুল হকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেশী দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি দলের তহবিল নিয়েও স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলেন।

অন্যদিকে নুরুল হক পাল্টা অভিযোগ করেন যে, রেজা কিবরিয়া ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন ইনসাফ কায়েম কমিটির কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। এর বিনিময়ে তিনি অর্থ পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হক নুর। দলের কর্মকাণ্ডে সময় না দেওয়ার অভিযোগও করা হয় রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে।

রোববারের বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। পরদিন রেজা কিবরিয়া বিদেশে চলে যান। সোমবার রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আবার বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নুরুল হক নুর। সে বৈঠকে রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় রাশেদ খানকে। সেই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দলের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে মনে করেন রেজা কিবরিয়া। মঙ্গলবার (২০ জুন) তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বলেন, “আমি এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। ফিরে এসে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”  

কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, “নুরকে প্রয়োজনে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।”

এ বিষয়ে নুর সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “রেজা কিবরিয়ার কোনো গণভিত্তি নেই। আমাদের দলের কোনো নেতা-কর্মী, সংগঠক তার সঙ্গে নেই। তাই তার থাকা, না থাকায় কিছু যায় আসে না।”

Link copied!