শীত ঘনিয়ে আসছে। এর প্রভাবে রাজধানীর বাজাগুলোতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজির প্রভাবে বাজারে দাম কমলেও বিক্রি বাড়ছে না।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা সবজির দাম হাঁকিয়ে ক্রেতা ডেকে ডেকে বিক্রি করছেন সবজিগুলো। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন, পটল, মুলা, শিম, বরবটি, কচুমুখি, ঢেঁড়স, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শসা, টমেটো, করলা ইত্যাদি আমদানি হয়েছে। এ সময় ক্রেতা ও বিক্রেতার দর কষাকষির চিত্রও চোখে পড়ে।
এ দিন বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কচুমুখি ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতাদের দাবি, গত ১৫ দিনের তুলনায় প্রকারভেদের সবজির দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় আজকের দিনে আশানুরূপ ক্রেতা নেই। ফলে বিক্রি কমেছে সেই সঙ্গে কমেছে লাভের পরিমাণ।
শরিফ আলম নামের এক সবজির বিক্রেতা বলেন, “শীতকালীন সবজির আমদানি শুরু হওয়া সবজির দাম কম। আগামী দিনে আরও কমবে। শুক্রবারে বাজারে ক্রেতা বেশি হয়। কিন্তু আজকে ক্রেতা খুবই কম, বিক্রি নেই। সমাবেশ, হরতাল আর অবরোধের কারণে মানুষ মনে ভয়ে আতঙ্কে কাজ করছে। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না।”
আবু বক্কর সিদ্দিক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “বাজারে সবজির দাম কমেছে। সেইসঙ্গে বিক্রিও কমছে। আজকে শুক্রবার বিক্রি হওয়ার কথা বেশি। কিন্তু বিক্রি নেই। আমার দোকানে প্রায় ৩২ হাজার টাকা মালামাল রয়েছে। এসব বিক্রি না হলে লাভও হবে না। পুরোটাই লোকসান। মানুষের মাঝে হয়তো আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই বের হচ্ছে না।”
মোহাম্মদ রনি নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে মানুষের মনে একটা আতঙ্ক থাকবেই। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না এটা সঠিক। আর বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতার নাগালে আসেনি। আরও দাম কমলে আমাদের জন্য ভালো।”
সেলিম শেখ নামের একজন ক্রেতা বলেন, “যাদের খুব প্রয়োজন তারাই বাড়ি থেকে বের হবে। কারণ সবার মাঝেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাজারে আজকে ক্রেতা মোটামুটি। অন্যান্য শুক্রবার যেমন থাকে। আজকে তেমন নেই।”