• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
বাজারদর

মাছ-মাংস-সবজি, কোথাও নেই স্বস্তি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ১২:১১ পিএম
মাছ-মাংস-সবজি, কোথাও নেই স্বস্তি

বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম চড়া। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বাজারে এসে অস্বস্তিতে পড়ছেন। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কয়েকটি পণ্যর দাম বেঁধে দিলে সেটিও কার্যকর হচ্ছে না।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সবকিছুর দামই বাড়তি।

কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

সরকার নির্ধারিত দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি না হলে ডিম বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামেই। এখনো প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।

কাঁচা বাজারের মতো ঊর্ধ্বমুখী মাছ বাজারও। আকার ভেদে রুই-কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের নলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং সিলভার কার্প ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি ছোট আকারের ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, মাঝারি আকারের ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আর বড় আকারের হলে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি, টেংরা ৫০০ টাকা, কই ২৬০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, টাটকিনি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য দিকে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকা, কক মুরগি ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে নিয়মিত বাজার করেন বেসরকারি চাকরিজীবী জালাল উদ্দিন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “প্রায় প্রতিটি জিনিস ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ কীভাবে চলবে। আমরা বেতন পাচ্ছিই-বা কত আর সংসার চালাব কীভাবে। তা ছাড়া আমাদের তো নানা খরচ রয়েছে। আমরা নিরুপায়। আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।”

কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা মামুন হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “কিছুদিন থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি কম এসেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। বেশি লাভ করি না।”

তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা আবির হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে আমাদের তিন বেলা মোটামুটিভাবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একদিকে বেতন সীমিত, অন্যদিকে সাংসারিক ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।”

Link copied!