কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “২০১৮ সালে আগের রাতেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেদিন নির্বাচন কমিশন বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে।”
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, “গোটা নির্বাচনব্যবস্থা একটা দলকে নির্বাচিত করা, একটা দলের জন্য সুব্যবস্থা করা, এই প্রেক্ষিতেই সামনের নির্বাচনের পরিকল্পনা চলছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। তাই এবার জাতীয় নির্বাচনে আগেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।”
গায়েবি মামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচন ও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আগের মতো গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করেছে প্রশাসন। শুধু জামালপুরে জেলায় একদিনে ৩০টি গায়েবি মামলা হয়েছে। একেকটি মামলা দেয় ১৫০-২০০ জনের নামে। এর সঙ্গে অজ্ঞাত দিয়ে দেয় দেড় দুই হাজার। ফলে পরবর্তীতে গণহারে গ্রেপ্তার অভিযান চলে।”
মামলা হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দেশের এমন একটা থানা নেই যেখানে নেতাকর্মীদের নামে মামলা নেই। আমাদের কোনো নেতাকর্মী নিজেদের বাসায় থাকতে পারে না। এটাকে কি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলবেন? কিন্তু আমাদের দুঃখ, একটা শিক্ষিত সমাজ ও মিডিয়ার একটা বড় অংশ এটাকে সমর্থন করে। এখনো সময় আছে এই সরকারের বোধোদয় হোক, অন্যথায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”