• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম
নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের

যুগপৎ আন্দোলনের ১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকাল সোয়া ৪টার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুলিশের বাধায় কাকরাইল, মালিবাগ হয়ে মগবাজার মোড়ে এসে পদযাত্রা শেষ হয়।

পদযাত্রা শুরুর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) নবনির্বাচিত সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “সরকার আবারও ১৪, ১৮ এর মতো একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা আয়োজন করতে চাচ্ছে। কিন্তু মাঠ সমতল না করে, নিরপেক্ষ রেফারি ঠিক না করে কোনো সাজানো-পাতানো নির্বাচনে আমরা যাব না।”

তিনি বলেন, “আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরা কোনো সংঘাত-সহিংসতা চাই না। সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।”

গণঅধিকার পরিষদ নিয়ে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা অফিস মালিককে দিয়ে গতকাল গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে, মিটার খুলে নিয়েছে। এর আগে কিছু দলছুট নেতাকে ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদ ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে। ব্যর্থ হয়ে এখন তাদের দিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ধরনের অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। একজনকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। এগুলো করে তারুণ্যের শক্তিকে থামানো যাবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাব। শর্তপূরণের পরও গণঅধিকার পরিষদসহ সক্রিয় দলসমূহকে নিবন্ধন না দিয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় গড়ে উঠা দুটি নামসর্বস্ব দলকে নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত করার প্রতিবাদে আগামী ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে গণঅধিকার পরিষদ।”

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে, নতুন দুটি ভুঁইফোড় দলের অফিস নিয়ে দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। জেলা ও উপজেলা কমিটি কমিটি গঠিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোক দিয়ে। সরকার আরেকটি ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করার জন্য এমন নামসর্বস্ব দলকে নিবন্ধনের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আর কমিশন নেই, তারা সরকারের দালালি ও দাসত্ব করে যাচ্ছে। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চাই।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ হিরো আলমকে ভয় পেতে শুরু করেছে, হিরো আলমও আজ তাদের আতঙ্কের কারণ। জনগণ রাস্তায় নামলে তারা পালানোর পথ পাবে না। ওবায়দুল কাদের বলছে, তাদেরও এক দফা, শেখ হাসিনা অধীনে নির্বাচন হবে। আমাদের সোজা কথা, আগামীতে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”

পদযাত্রা কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, গণনেতা আনিসুল ইসলাম মুন্না, রফিকুল ইসলাম, কামরুন নাহার, শাকিল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!