• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

এমপি আনারের খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ডিবি প্রধান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
এমপি আনারের খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ডিবি প্রধান
সঞ্জীবা ভবন ও নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, “আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। পরে দুটি ব্রিফকেস করে সঞ্জীবা ভবনের ফ্ল্যাট থেকে সেগুলো সরানো হয়।”

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, “ভারতের পুলিশের একটি টিম আসবে, এসে সমন্বয় করে তদন্ত কাজ আগাবে। সরকার অনুমতি দিলে বাংলাদেশের পুলিশও যাবে ভারতে।”

খুনের বর্ণনা দিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, “আনারের মূল হত্যাকারীর নাম শিমুল ভূঁইয়া। আমানুল্লাহ তার ছদ্মনাম। আমানুল্লাহ আমান নামে নতুন একটি পাসপোর্ট করে কলকাতায় যান। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। আনারকে হত্যার পরিকল্পনা চলছিল দু-তিন মাস ধরে। মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের গুলশান ও বসুন্ধরার দুটি ফ্ল্যাটে একাধিক বৈঠক করেছিলেন হত্যাকারীরা।”

হারুন অর রশীদ বলেন, “ভিকটিম প্রায়ই কলকাতায় আসা-যাওয়া করেন, তাই কলকাতার মাটিতেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মূল হত্যাকারী শিমুল ভূঁইয়া, তার সহযোগী তানভীর ভূঁইয়া এবং আখতারুজ্জামান শাহিনের গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমান গত ৩০ এপ্রিল কলকাতায় যান।”

ডিবি প্রধান বলেন, “গত ১৩ মে বিকেল ৩টার দিকে হত্যাকারীরা আনোয়ারুল আজিমকে নিয়ে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করেন হত্যাকাণ্ড। এরপর লাশ খণ্ড খণ্ড করে মসলা মিশিয়ে ট্রাভেল ব্যাগে করে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন দিন বাইরে বের করে নিয়ে যান।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “আনারের মরদেহ পাওয়ার আশা খুবই কম, তারপরও চেষ্টা করছি, কিছু খণ্ড উদ্ধারের।”

নিহত আনোয়ারুল আজীম আনারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান আনার। ১৩ মে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে জানান, দিল্লি যাচ্ছেন। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। কলকাতা পুলিশ বুধবার (২২ মে) জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, সংসদ সদস্য আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর বুধবার সংসদ সদস্য আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এই ঘটনায় বাংলাদেশে আমানুল্লাহ ফয়সাল, সাজিদ ও মোস্তফা ফকির নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Link copied!