• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রয়লার মুরগির উত্তাপ থামছেই না


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ১১:২০ এএম
ব্রয়লার মুরগির উত্তাপ থামছেই না

স্বল্প আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা মেটানোর প্রধান ভরসা ‘সস্তা মাংস’ ব্রয়লার মুরগি। গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই বাড়তে শুরু করে এই মুরগির দাম। যার দামে ইতিহাস গড়লো ২৬০ টাকা কেজি। দামের এমন উত্তেজনার এক মাস হতে চললেও আসছে না কোনো নিয়ন্ত্রণ। ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম এইভাবে বাড়তে থাকলে রমজানে আরও দাম বাড়বে। সেই সঙ্গে থেমে নেই সোনালি মুরগির দামও, এটি কেজি ৩৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগিও।

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বড় রসুনের কেজি ১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

অন্যদিকে মাংসের আরেক বাজারে গরুর মাংস আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।

রামপুরা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী আবুল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, এর আগে কখনোই তারা ২৬০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেননি। মূলত বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই রেকর্ড দাম সৃষ্টি হয়েছে।

মুরগীর আরেক ব্যবসায়ী সুলতান হাফিজ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “খাবারের দাম, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দাম বাড়ছে। আমরা নিরুপায় হয়ে বেশি দামে কিনে এনে বাড়তি দামেই বিক্রি করছি। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিন্তু বিক্রি কমেছে।”

বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাঈল হোসেন বলেন, “ব্রয়লার এখন ২৫০ টাকা, দেখব রোজার মাসে ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। দাম বাড়ুক সমস্যা নাই, ব্রয়লার মুরগি আর বাসায় নেব না। এভাবে হুটহাট যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তদারকি করতে কখনো দেখা যায়নি।”

গার্মেন্টস কর্মী মাইশা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, অনেক বেশি দামের কারণে মাসে একবারও গরু বা খাসির মাংস খাওয়া সম্ভব হয় না। একমাত্র ভরসা ছিল ব্রয়লার মুরগি। এখন সেটারও দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে করে মুরগিও খাওয়া সম্ভব হবে না।

এদিকে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর কেজি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ টাকা ও কাঁচকলা হালি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!