• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও করছে বিএনপি-জামায়াত’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
‘অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও করছে বিএনপি-জামায়াত’
ছবি : সংগৃহীত

অবরোধ কর্মসূ‌চির নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে জ্বালাও-পোড়াও করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “অবরোধ ডাকলে, আগের দিন থেকেই গাড়ি পোড়ানো শুরু হয়। মানুষ ভেবেছিল, যেহেতু আগামীকাল অবরোধ, সেহেতু আজ গাড়ি-ঘোড়ার ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এটি হতে পারে না। এগুলোকে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললে কম হবে।”

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে বর্তমান প‌রি‌স্থি‌তি নি‌য়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। একটি গাড়ি পোড়ানো মানে একটি পরিবারকে পুড়িয়ে দেওয়া, একটি পরিবারের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিয়ে তাদের স্বপ্নকে পথে বসানো। যারা রাজনীতি করেন, তারা এ কাজ করতে পারেন না। হ্যাঁ, তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক, মানুষকে বলুক—আমরা অবরোধ ডেকেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না।”

বিরোধী দলের কর্মসূ‌চি নি‌য়ে জাতিসংঘের বিবৃতি প্রস‌ঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমত, জ্বালাও-পোড়াওয়ের অধিকার আছে বলে জাতিসংঘ বলেছে, এটা আমি মনে করি না। জাতিসংঘ এটা বলেনি। আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেটা মানে এই নয় যে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য তাদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। আরও অনেকে বিদেশ থেকে নিন্দা জানিয়েছে। বিএনপি নানাভাবে অনেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ড কেউ সমর্থন করেনি, করতে পারে না।”

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের এত জনপ্রিয়তা তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যোগী কর্মী যারা ২০ মিনিটে ময়দান ছেড়ে চলে গেছেন, তারা কতটুকু নামে আমরা একটু দেখি। তাদের কর্মীরা কতটুকু নামে, এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে। নির্বাচনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।”

বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি মনে করি, দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো অংশগ্রহণ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।”

Link copied!