• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

দেশে সংকট নেই, বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।”

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স ম আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত ‘দীপ্ত আলাউদ্দীন’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এ এইচ এম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

বিএনপি নেতাদের ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোনো পথ খোলা নাই’। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। তারা ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে। কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। আবারও ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেন-দরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। কিছুই করতে পারেনি।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনো দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। এটি একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি দল যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে। অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতেও বারণ করছে। এটি তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিঃপ্রকাশ।”

এভাবে যদি তাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়। দলের মধ্যে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “বিএনপির মধ্যে ছোটখাটো বিস্ফোরণের মধ্যেই হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে। কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রথমত বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না। এ নিয়ম তো নাই। দ্বিতীয়ত বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনোই সংঘাত চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। বরং বিএনপি সংঘাত তৈরির অজুহাত খুঁজছে। তারা যেহেতু অতীতে মানুষের সহায়-সম্পত্তি, পুলিশ, পথচারীর ওপর হামলা করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। সে দায়িত্ববোধ থেকেই ২৭ জুলাই যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সম্মিলিতভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।”

Link copied!