হারানো ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বিএনপি পাগল হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ভুয়া, সরকারের পতন ভুয়া, বিজয় মিছিল ভুয়া, তারেকের আগমন ভুয়া। বেপরোয়া চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক হচ্ছে বিএনপি। তারা কখন, কোথায় দুর্ঘটনা ঘটায় সেটাই চিন্তার বিষয়।”
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী একটি ‘মিশন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমির খসরু সাহেব ওয়াশিংটনে গেছেন। সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে। তদবির করতে। আমির খসরু সাহেব, কী পেলেন? তার মিশন ব্যর্থ। সব ষড়যন্ত্র করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তিনি এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন।”
আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের দিনে বিএনপির ডাকা সমাবেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “২৪ তারিখ আমাদের জাতীয় সম্মেলন। সেদিন কেন প্রোগ্রাম দিয়েছে তারা? সেদিন কেন তাদের কর্মসূচি, আমি জানতে চাই। প্রত্যাহার করুন। সংঘাতের উসকানি দেবেন না।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দুই মাস আগে আমাদের নেত্রী ২৪ তারিখ ঘোষণা করেছেন। এ কর্মসূচির অর্থ সংঘাতের উসকানি দেওয়া। ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গণ্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।“
তত্ত্বাবধায়ক তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বেগম জিয়া বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক পাগল-শিশু ছাড়া কেউ বুঝে না। আমরা তার কথা মানি। কথা সত্য। ধন্যবাদ জানাই এই কথা বলার জন্য। বিএনপি কেন উল্টো চলে? বিএনপি যে দেশের কাছে নালিশ করেছে তাদের দেশেও তত্ত্বাবধায়ক নেই। আদালত এটা নাকচ করে দিয়েছে। মৃত ইস্যুকে জীবিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। সেটা আর হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান ছাড়া আল্লাহর দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। আমরা কেন তত্ত্বাবধায়ক আনব? দুনিয়ার কোনো দেশে ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রে ত্রুটি আছে, কোথাও গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নেই। সেই হিসেবে আমরা ভাল আছি।”
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।