• ঢাকা
  • বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪
লং মার্চ টু যমুনা

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের পাশে জবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ । ছবি : সংগৃহীত

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। এর আগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের বাধার মুখে তারা। 

এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে— ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা ভেঙে যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে কাকরাইল এলাকায় পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষকরাও। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাকরাইল মোড় অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।”

এ সময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে।”

এদিন বিকেল ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ উপস্থিন হন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে আসতেই পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

Link copied!