• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আ.লীগের নেই : শেখ হাসিনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আ.লীগের নেই : শেখ হাসিনা
গণভবনে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : পিআইডি

ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “জনগণের কাছে যাব, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোনো চেষ্টা আমাদের নেই।”

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নয়ন করছি। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে বাংলাদেশটা বদলে গেছে।”

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার কল্পনা করে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে। এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিচ্ছু নেই। এটা জনগণকেই প্রতিহত করতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান সারা দেশের মানুষের প্রতি।”

গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করবে? মানুষ হত্যা করে আন্দোলন? আমি জানি না এই আন্দোলন করে কী পাবে তারা?”

শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো? চাল যাচ্ছে, চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধান যাচ্ছে ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না, তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কি না।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আমি ঠিক জানি না, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে কী আন্দোলন হয়। আমরাও আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি যেন হয়, সেটা চিন্তা করে। কিন্তু আমি এ রকম আন্দোলন দেখিনি।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা করতে দেখেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে, তারা আমাদের এভাবে সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা, হাসপাতালও রেহাই পায় না। হাসপাতালের ওপর পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই দেখতে পাই। আন্দোলনের নামে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া; পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা; এ রকম বীভৎস ঘটনা বাংলাদেশে ঘটানো হচ্ছে। এটা নাকি আন্দোলন। তাহলে কার স্বার্থে আন্দোলন?”

Link copied!