হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদানে ৭৯ কেন্দ্র

চলতি বছর রাজধানীসহ সারা দেশে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়া হবে ৭৯টি কেন্দ্রে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা (মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা) গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়ার পর হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ নিজ নিজ সংগ্রহে রাখতে বলা হয়েছে। মূলত বিমানবন্দরে দেখানোর জন্যই এটি সংগ্রহে রাখতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়ার নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা ছাড়া সব জেলার সিভিল সার্জনের অফিস (৬৩ জেলার)। এ ছাড়া রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, দিনাজপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে হজযাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে হজের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ। এতে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। আগামী ২১ মে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের সরকারি হাসপাতাল কিংবা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে বুকের এক্স-রে, ইসিজি, রক্তের গ্রুপ, ইউরিন আর/ই, ব্লাড সুগার পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে যেতে। এ ছাড়া গত তিন মাসের মধ্যে যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলোর প্রতিবেদন সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। নতুন করে তাদের পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।