‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে’ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত একটি প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ সরকার ‘চরম হতাশা’ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিচারাধীন বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যৌথ প্রস্তাব উত্থাপন এবং ঢাকায় আজ দুই ‘অধিকার’ কর্মকর্তার বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, তা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের শামিল।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন ও ন্যায়সংগতভাবে পরিচালিত হয় এবং সব পক্ষের অধিকার সম্মানের সহিত সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে চলেছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশ সরকার ‘অধিকার’- বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের রেজুলেশন সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বমূলক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এটা সবার জানা যে, ‘অধিকার’-সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে বিএনপি-জামায়াত সরকার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর সেই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অতএব শত দাবি করলেও ‘অধিকার’ মোটেও একটি নিরপেক্ষ বা স্বাধীন সংস্থা নয়।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫০ বছরের ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে অর্থবহ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এটি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করে।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




























