• ঢাকা
  • শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩০, ১৫ রমজান ১৪৪৬

৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ফটো

সংবিধানসহ ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়ে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় এসব প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

৬টি কমিশন হলো, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন।

জানা যায়, গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। এসব কমিশনকে ৯০ দিন বা তিন মাসে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এরপর নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর গত ১৫ জানুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক এই চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়। অপরদিকে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ১ মাস ৩ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেনকে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।

দুদক সংস্কার কমিশনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে প্রধান করা হয়।

আবার এই কমিশনগুলোর প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেটির প্রধানের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সদস্য সচিব হন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের পর প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার।

এরপর চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ৩ থেকে ৭ দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।

Link copied!