মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মুগদা থানার মাণ্ডা এলাকায় ছেলের বাসায় দেখা করতে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়ে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল ওয়াহেদ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা সদরের সদস্যসচিব ছিলেন। সে সময় তিনি গাইবান্ধায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়।
পরে আবদুল ওয়াহেদ সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবদুল ওয়াহেদসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর আগে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তখন আবদুল ওয়াহেদ গাইবান্ধা ছেড়ে ঢাকার সাভারে চলে আসেন। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন। এরপর তিনি তাবলিগের দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতেন।
র্যাব আরও জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে আবদুল ওয়াহেদ তাবলিগে যুক্ত হন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তিনি অন্যের নিবন্ধন করা সিমকার্ড ব্যবহার করতেন। এছাড়া আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




























