ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট অংশে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন চলাচল করেছে। এই সময়ে টোল আদায় হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু পক্ষের সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দক্ষিণমুখী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৬৬৭; যার মধ্যে ১২ হাজার ২৪২টি বাহন বিমানবন্দর থেকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী এবং ফার্মগেট পর্যন্ত গিয়েছে। কুড়িল থেকে কামাল আতাতুর্ক, মহাখালী এবং ফার্মগেটে গিয়েছে ২ হাজার ৪২৫টি বাহন।
অন্যদিকে উত্তরগামী যানবাহন ছিল ৮ হাজার ১৩৮টি; এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯২টি এসেছে বনানী থেকে এবং ৫ হাজার ২৪৬টি তেজগাঁও থেকে।
রোববার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ১১ কিলোমিটার র্যাম্প ও লিংক লাইনসহ সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন। রোববার সকাল ৬টায় অবকাঠামোটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার আওতায় ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃত্বে একটি কনসোর্টিয়ামের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার এ প্রকল্প ব্যয়ের ২৭ শতাংশ ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফাইন্যান্সিং হিসেবে প্রদান করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, “প্রথম দিনের সেবা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। র্যাম্পের সামনের অবকাঠামো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো ছিল।”
অফিস টাইমের আগে সকাল ৯-১০টা নাগাদ এক্সিট র্যাম্পের সামনে যানবাহনের সামান্য ভিড় ছিল। কিন্তু দিনের বাকি সময়ে র্যাম্পগুলো খালি ছিল। এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো পাবলিক বাস দেখা যায়নি। তবে কিছু অফিস বাস ছিল। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের নিচে বিমানবন্দর সড়কে বাসের সংখ্যা সব সময়ের মতোই ছিল।
সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের গ্যারান্টি দিয়েছে, এ সড়কে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার যানবাহন চলবে।