রাজধানীতে ‘থাবা পার্টির’ ১৬ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীতে প্রায়ই রিকশা, বাস, প্রাইভেট কার ও সিএনজির যাত্রীদের কাছ থেকে ‘থাবা’ বা ‘ছোঁ মেরে’ মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনায় একটি চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের বিশেষ অভিযানে ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, চারটি চাকু ও দুই জোড়া সোনার দুলসহ নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মিজান (৩৮), আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসন (২৩),  হৃদয় (২১), মো. রাজ (২০), মো. সুমন (৩২), সোহেল বাবু (২৬),  হৃদয় (২২),  মনিরুজ্জামান (৪০), মো. নাজমুল (২৬), মো. মনির (৪০), মো. ইমরান (২০),  মো. ফারুক (২৮), আশরাফুল ইসলাম সজিব (৩১) ও হাসান (২০)। এদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি শাখার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার ১৬ জনের ১২ জনই মাদকাসক্ত। তাদের মধ্যে তিনজন মহাজন রয়েছে, যারা অন্যদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।”

হারুন অর রশীদ বলেন, “গ্রেপ্তাররা পরস্পরের যোগসাজশে ঢাকা মহানগরীর মহাখালী, আমতলী, কাকলী, বনানী, ঢাকা গেট, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাবা পার্টির দলের নেতা মিজান, জয়-বাবু ও শরীফের নেতৃত্বে বাস, প্রাইভেট কার ও সিএনজির যাত্রীদের কাছ থেকে থাবা ও ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ, গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয়কারী সুমন, ফারুক ও আশরাফুল ইসলাম সজিবের কাছে উত্তরখান দোবাদিয়া সাইনবোর্ড বিসমিল্লাহ মোবাইল সার্ভিসিং নামে দোকানে বিক্রি করে আসছে।”

ডিবির প্রধান আরও বলেন, “যাদের যেখানেই এভাবে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটবে, আমি বলব, তারা যেন সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করে রাখেন। জিডির পরবর্তী সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া চেষ্টা করব।”

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।