বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে ১৪ দল। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ১৪ দলের মুখপাত্র মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এতে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
সভায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় পার্টি (জেপি) ও জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (মোজাফ্ফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইসমাইল হোসেন, তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিত বরণ রায়, ঢাকা মহানগর ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়। তবে এর প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর। ওই সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের চেষ্টায় ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়।
তৎকালীন বাম দলগুলোর ১১ দলীয় জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, জাসদ ও ন্যাপ যোগ দেয়। নাম দেওয়া হয় ১৪ দলীয় জোট। কিন্তু এ জোটে ১১ দলীয় জোটের শরিক সিপিবি যোগ দেয়নি। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া ‘২২ জানুয়ারির নির্বাচন’ ঘিরে জাতীয় পার্টি, এলডিপি, বিকল্পধারা, গণফোরামকে নিয়ে নির্বাচনী মহাজোট গঠিত হয়। একই সময় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ‘ফতোয়া চুক্তি’ নিয়েও ১৪ দলে টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরে নির্বাচনী জোট থেকে দলগুলো বের হয়ে গেলেও ১৪ দলীয় জোট এখনও বলবৎ আছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :